https://www.voiceofpeople24.com/

4093

international

গাজার আন্তর্জাতিক বাহিনীর জন্য ২০ হাজার সেনাকে প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৮

যুদ্ধবিরতিতে থাকা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীর জন্য ২০ হাজার সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাজাফরি সাজামসোয়েদ্দিন শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে সাজাফরি জানান, গাজায় একটি পুরোদস্তুর শান্তিরক্ষী টিম পাঠাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। এই টিমে থাকবে প্রশিক্ষিত ২০ হাজার সেনা এবং বেশ কয়েক জন ডাক্তার ও প্রকৌশলী। ব্রিফিংয়ে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য দুই দিক থেকে অনুমোদনের আশ্বাস পেয়েছে ইন্দোনেশিয়া— জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র। এখন কেবল মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের ‘সবুজ সংকেতের’ অপেক্ষা। 

“আরব অঞ্চলের দেশগুলো— বিশেষ করে সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যদি সবুজ সংকেত দেয়, সেক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া আনন্দের সঙ্গে গাজা মিশনে যুক্ত হবে”, ব্রিফিংয়ে বলেন সাজাফরি সাজামসোয়েদ্দিন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত সেই প্রস্তাবে ইসরায়েল এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস সম্মতি জানানোর পর গত ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়। 

ট্রাম্পের প্রস্তাবের ২০টি পয়েন্টের একটিতে উল্লেখ ছিল যে যুদ্ধপরবর্তী গাজায় একটি অস্থায়ী বেসামরিক টেকনোক্র্যাট সরকার এবং উপত্যকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করা হবে। এই বাহিনীর সদস্যরা টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকবেন।

তবে কবে নাগাদ এই বাহিনী চূড়ান্ত এবং কার্যকর করা হবে— তা এখনও অজানা। কারণ যুদ্ধবিরতির একমাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট সরকার গঠনের জন্য দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ এখনও নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও আরব অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো।